Pages

Sunday, July 11, 2021

দাঁত ব্রাশ করার সময় এই ভুলগুলো আপনি করেন না তো?

আপনি কি দাঁত ব্রাশ করার পর পানি দিয়ে বারকয়েক কুলি করে টুথপেস্টের বংশধরকেও দাঁত থেকে ঝাঁটিয়ে বিদায় করেন?


তবে একটু থামুন।


আমরা বেশিরভাগ মানুষই দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করি না৷ আবার যারা দুই বারই করি, তারা আবার দুই মিনিট পর্যন্ত ব্রাশ করি না; এমনটা বহুক্ষেত্রেই হয়৷ তাই বলে আবার আমার কথা শুনে রাগের বশে দিনে তিন-চারবার দাঁত মাজতে যাবেন না কিন্তু! তাতে বিপদ আরও উল্টো বাড়বে৷
এ তো গেল দাঁত ব্রাশের সাধারণ কিছু ভুল-ত্রুটি৷ তবে যে ভুলটা আমরা প্রায় সবাই করি, সেটা এবার বলব৷
দাঁত ব্রাশ করা শেষে দুই-তিনবার পানি দিয়ে আচ্ছামতো কুলি করে টুথপেষ্ট পুরোটা ফেলে দেওয়া – আমাদের জন্য এটা দাঁত মাজার সমাপ্তির একটা কমন দৃশ্য৷ তবে এতে ভালো বই খারাপই বেশি হয়৷ টুথপেষ্ট এ থাকে ফ্লোরাইড৷ যেটি দাঁতের এনামেলসহ অন্যান্য উপাদানের সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়৷ সেজন্য আমরা যখন আচ্ছামতো কুলি করে টুথপেষ্ট বের করে দেই, তখন এই ফ্লোরাইডও বের হয়ে যায়৷ তাতে করে দাঁতের সুরক্ষার জন্য টুথপেষ্টে থাকা ফ্লোরাইড কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ পায় না৷

এজন্যই নিয়ম হচ্ছে, দাঁত মাজার পর অতিরিক্ত টুথপেষ্ট ফেলে দেওয়া, তবে কুলি করে সম্পূর্ণটা বের করে দেওয়া নয়৷ এটা অনেকের কাছে বিচ্ছিরি ঠেকতে পারে, তবে এটাই আসল নিয়ম। এর ফলে মুখের ভেতরে থাকা ফ্লোরাইড দাঁতকে রক্ষা করবে এবং দাঁতের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় থাকবে৷

অনেকে ব্রাশ করে শেষে মাউথ ওয়াশও ব্যবহার করেন, তবে সেটা ব্রাশ করার পরপরই ব্যবহার করা উচিত নয়৷ দরকার হলে অন্যান্য সময়ে সেটা ব্যবহার করুন।
তাহলে এখন থেকে টুথপেষ্টের পুরো বংশধরকে বিদায় করবেন না, টুথপেষ্ট ব্যথা পাবে তো!

এছাড়াও, আরও অনেক ভুলই আমরা করি দাঁত মাজতে গিয়ে৷ সেজন্য ঘুরে আসুন নিচের তথ্যসূত্রে দেওয়া লিংকগুলো থেকে৷

তথ্যসূত্র :



© ইকতেদার ফাহিম


প্রথম প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২১

Saturday, July 10, 2021

মানুষ চিনতে আরেকটু সচেতন হন

আমি কোনোকালেই ভালো প্রকৃতি অনুধাবক কিংবা প্রেমিক ছিলাম না। চাঁদে আমার মায়া জাগলেও আমার ঠিক পূর্ণিমার ভরাট চাঁদদর্শনে যাওয়া হয় না। হয়ত কোনোভাবে মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে নজর পড়ে যায়৷ তখন মুগ্ধ হয়ে থাকিয়ে থাকি৷ সূর্যাস্তটাও সময় করে দেখা হয় না৷ ভোরের সূর্যোদয়টাও। যদি অন্যকোনো কাজের বাহানায় (সৌভাগ্যে আরকি!) চোখে পড়ে যায় সূর্যাস্ত কিংবা সূর্যোদয় তখন ঠিক তেমনই মুগ্ধতা কাজ করে। কিন্তু কোনকালেই আমি ভালো পর্যবেক্ষক হতে পারিনি৷ হয়ত আমি এমনই, নয়ত সেই পুরনো আলসেমি৷ তবে ভালোবাসা কিংবা প্রকৃতির মোহে আলসেমি কাজ করার কথা নয়৷ তাই প্রথম কারণটাই ধরে নিই৷ আরেকদিকে আমার প্যাশনও কেন যেন ঘন ঘন রূপ পাল্টায়৷ ওই যে নেশা, সেটা কেন যেন আমাকে আসক্ত করতে পারে না৷ তবে আমি হতে চাই, খুব করে আসক্ত।


কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, লিখতে গেলে আমি ঠিকই প্রকৃতিকেই নতুনভাবে অনুভব করি৷ সেটার বেশিরভাগটাই অল্প পর্যবেক্ষণ, অনুভূতি এবং কল্পনা, সাথে পুঁথিগত বিদ্যে৷ তাই আমার মতে মানুষের জীবনের অভিনয়টা ধরা খুব কঠিন৷ এইযে সবাই আমার লেখা পড়ে ভাবে আমি বুঝি প্রকৃতিকেই অনুভব করি সবটা সময়, সবটা জুড়ে৷ তবে সে তো সত্য নয়৷ এভাবেই লেখকের লেখার সত্তা এবং তার সত্তার মতো মানুষের এমন ভিন্ন অবতারও কিন্তু রয়েছে। সেজন্যই হঠাৎ মনে হলো, সাধারণ পর্যবেক্ষণটা মানবজীবনে আসলে ভ্রম৷ সে সত্য ও মিথ্যার মাঝামাঝি৷ নিজেকে আবিষ্কার করতেই যেখানে আয়ু শেষ হয়, সেখানে মানুষ চিনতে একটু সচেতন হওয়াই ভালো।

© ইকতেদার ফাহিম

Friday, July 9, 2021

মেধার বাজারে আমরা কি শুধু দাম হাঁকতেই থাকব?

মেধার মাপকাঠি আসলে কী?


এই যে এতকাল ধরে বিজ্ঞানের মতো আমরা মেধা তথা মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে একই সূত্র কিংবা কাঠামোর মাঝে আনার চেষ্টা করছি, সেটা কি আদৌ ঠিক হচ্ছে? বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় ভালো ফলাফলকেই মেধার মাপকাঠি ধরা হয়৷ তারপর শিক্ষাজীবন শেষে বিসিএস পরীক্ষায় টিকে যাওয়াটাই হচ্ছে মেধার পরিচায়ক। এই গৎবাঁধা নিয়মটা আমাদের সমাজের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইতিমধ্যেই পাকাপোক্তভাবে গেঁথে গেছে। প্রতিটা মানুষের আগ্রহ, প্যাশন, ভালোবাসা যে ভিন্ন ভিন্ন সেটা আমরা কবে অনুধাবন করব? যখন সবকিছু শেষ হয়ে যাবে? যখন আর কিছুই করার থাকবে না? আপনি যদি আপনার গৎবাঁধা মাপকাঠিতে একজন মানুষের মেধা যাচাই করতে চান, তবে আপনিই ব্যর্থ; আপনিই তার মেধা খুঁজতে পারেননি৷ হয় আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, নয়তো আপনার এমন ঘুনে ধরা মস্তিষ্কের দাঁড়িপাল্লার কাজকর্ম বন্ধ করুন৷


শিক্ষাকে, জ্ঞানকে বাজারে পরিণত করে যে নির্মম প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন সেটা বন্ধ করুন। আপনি যদি শিক্ষক হয়েও শিক্ষার্থীর মেধা খুঁজে না পান তবে শিক্ষক হিসেবে আপনার যোগ্যতাটা যাচাই করে নিন ফের; না সেই পুরোনো মাপকাঠিতে নয়, জ্ঞান আর সততার মাপকাঠিতে। জ্ঞানকে যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আমরা দিয়েছি এবং আর্থিক অবস্থাভেদে তার মানের যে পরিবর্তনশীল অবস্থা পুরো বিশ্বে পরিলক্ষিত হয় তা-ও দূর করা বড্ড প্রয়োজন। নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে চিনুন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাগলা দৌঁড় নাহয় চলতেই থাকুক, তবে নিজেকে সেখানে কীভাবে দেখতে চান তা আরেকবার ভাবুন। আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিরোধী নই, তবে মেধা যে শুধু তাতেই প্রকাশিত হয় এই ধারণার ঘোর বিরোধী। তবে দিনশেষে আমাদের সবাইকে হয়ত আবার সেই স্রোতেই গা ভাসাতে হবে। কারণ এ শৃঙ্খল ভাঙার সাহসটা বোধহয় আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গিয়েছে।


তারপর বলুন আপনি জিপিএ ৫ পেয়েছেন তো? ওমা, কী বলেন পাননি! আহা রে, সব গাঁধার দল!

এই ধারা চলতেই থাকবে! থামবে কী?

© ইকতেদার ফাহিম