মানুষ চিনতে আরেকটু সচেতন হন

আমি কোনোকালেই ভালো প্রকৃতি অনুধাবক কিংবা প্রেমিক ছিলাম না। চাঁদে আমার মায়া জাগলেও আমার ঠিক পূর্ণিমার ভরাট চাঁদদর্শনে যাওয়া হয় না। হয়ত কোনোভাবে মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে নজর পড়ে যায়৷ তখন মুগ্ধ হয়ে থাকিয়ে থাকি৷ সূর্যাস্তটাও সময় করে দেখা হয় না৷ ভোরের সূর্যোদয়টাও। যদি অন্যকোনো কাজের বাহানায় (সৌভাগ্যে আরকি!) চোখে পড়ে যায় সূর্যাস্ত কিংবা সূর্যোদয় তখন ঠিক তেমনই মুগ্ধতা কাজ করে। কিন্তু কোনকালেই আমি ভালো পর্যবেক্ষক হতে পারিনি৷ হয়ত আমি এমনই, নয়ত সেই পুরনো আলসেমি৷ তবে ভালোবাসা কিংবা প্রকৃতির মোহে আলসেমি কাজ করার কথা নয়৷ তাই প্রথম কারণটাই ধরে নিই৷ আরেকদিকে আমার প্যাশনও কেন যেন ঘন ঘন রূপ পাল্টায়৷ ওই যে নেশা, সেটা কেন যেন আমাকে আসক্ত করতে পারে না৷ তবে আমি হতে চাই, খুব করে আসক্ত।


কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, লিখতে গেলে আমি ঠিকই প্রকৃতিকেই নতুনভাবে অনুভব করি৷ সেটার বেশিরভাগটাই অল্প পর্যবেক্ষণ, অনুভূতি এবং কল্পনা, সাথে পুঁথিগত বিদ্যে৷ তাই আমার মতে মানুষের জীবনের অভিনয়টা ধরা খুব কঠিন৷ এইযে সবাই আমার লেখা পড়ে ভাবে আমি বুঝি প্রকৃতিকেই অনুভব করি সবটা সময়, সবটা জুড়ে৷ তবে সে তো সত্য নয়৷ এভাবেই লেখকের লেখার সত্তা এবং তার সত্তার মতো মানুষের এমন ভিন্ন অবতারও কিন্তু রয়েছে। সেজন্যই হঠাৎ মনে হলো, সাধারণ পর্যবেক্ষণটা মানবজীবনে আসলে ভ্রম৷ সে সত্য ও মিথ্যার মাঝামাঝি৷ নিজেকে আবিষ্কার করতেই যেখানে আয়ু শেষ হয়, সেখানে মানুষ চিনতে একটু সচেতন হওয়াই ভালো।

© ইকতেদার ফাহিম

Comments